Md. Siddiqur Rahman The Child Freedom Fighter
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল ১৯৭১ সালে সংঘটিত তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সশস্ত্র সংগ্রাম, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি নিধনে ঝাঁপিয়ে পড়লে একটি জনযুদ্ধের আদলে গেরিলাযুদ্ধ তথা স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা ঘটে।
--
উইকিপিডিয়া
ঢাকায় গণহত্যা চালানোর পর পাকিস্তানি বাহিনী ১০ এপ্রিলের মধ্যে সারা বাংলাদেশ নিজেদের আয়ত্তে আনার পরিকল্পনা করে। কিন্তু সামরিক বাহিনীর বাঙালি সদস্যরা এবং ছাত্র ও সাধারণ জনতা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্বাধীনতা যুদ্ধে গেরিলাদের প্রথম পর্যায়ের যুদ্ধগুলো ছিল পরিকল্পনাহীন ও অপ্রস্তুত। কিন্তু অস্ত্রপ্রাপ্তি ও প্রশিক্ষণ – এই দুইয়ের ঘাটতির কারণে বাংলাদেশের স্বাধীনতার লড়াই পরিকল্পিত রূপ পেতে পেতে জুন মাস পার হয়ে যায়। ১১ জুলাই বাংলাদেশের সামরিক কমান্ড তৈরি করা হয়।
--
উইকিপিডিয়া
মোঃ সিদ্দিকুর রহমান
একজন শিশু মুক্তিযোদ্ধার গল্প
বাংলদেশের কিশোর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে একজন সিদ্দিকুর রহমান আমাদের অহংকার। যশোর জেলার সদর উপজেলার গাঁওঘরা গ্রামের গোলাম আলীমোল্যা ও রত্নগর্ভা সখিনা খাতুন দম্পতির ১১ সন্তানের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান সবার ছোট। শৈশবে সিদ্দিক ছিলেন প্রাণচঞ্চল এক দূরন্ত বালক।
স্কুলের ক্লাসের সময় বাদ দিয়ে সারা সময় কাটতো হৈচৈ করে মাঠে বিলে আর বনে বাদাড়ে টো টো করে ঘুরে বেড়ানো, গুলতি দিয়ে পাখি শিকার করা, বাগানের কাঁচা আম চুরি করে ঝিনুক দিয়ে খোসা ছিলে কলার পাতায় ঝাল লবণ মাখিয়ে খাওয়া, পুকুরে গোসলে নামলে দূরন্ত এই বালকের কেটে যেতো ঘন্টারপর ঘন্টা আর দুই চক্ষু কোকিলের মত লাল না হওয়া পর্যন্ত পুকুর থেকে উঠতো না। এমনই দুরন্তপনায় কাটতো তার ছেলেবেলার দিন। এ নিয়ে মায়ের হাতেকতো না ছোট খাট পিটুনি আর বকুনি খেয়েছে। এই দূরন্ত দুষ্টুমীপনার মধ্যেও সিদ্দিক লেখা পড়ায় ছিল অত্যন্ত মেধাবী।
১৯৭১ সালের যুদ্ধের দামামা যখন চলছে তখন সিদ্দিক পার্শ্ববর্তী গ্রাম ইছালি প্রাইমারী স্কুলে ক্লাস ফাইভের ছাত্র। চারিদিকে যুদ্ধের বিভীষিকাময় দাউদাউ করে জ্বলছে। জাতির এমনি এক দূর্যোগময় মুহুর্তে সিদ্দিকের বড় ভাই জিন্দার আলী মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের জন্য ১৯৭১ সালের জুন মাসে মা বাবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। অনেক দিন পর মা বাবা ও ভাই বোনদের খবর নিতে জিন্দার আলী ফিরে আসে তার প্রিয় গ্রাম গাঁওঘরায়। মুহুর্তেএ খবর পৌঁছে যায় পাক সেনাদের দোসর আল বদর রাজাকারদের নিকট। রাজাকাররা ছুটে আসে জিন্দার আলীকে ধরতে। জিন্দার আলী ইতোমধ্যে ছোটভাই সিদ্দিককে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাগানে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। রাজাকাররা সিদ্দিকদের বাড়ী আগুন ধরিয়ে দেয়। দূর বাগান থেকে শিশু সিদ্দিক তার বড়ভাইয়ের সাথে অবাক দৃষ্টিতে সেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে থাকে আর মনে মনে প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলে উঠে। প্রতিহিংসার আগুনে জ্বলতেজ্বলতে সারারাত নির্ঘুম কাটে তাদের দুই ভাইয়ের। পরদিন ভোরবেলা পিতা গোলাম আলী তার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান জিন্দার আলীর হাতে প্রাণের টুকরো ছোটছেলে দূরন্ত বালক সিদ্দিককে তুলে দেয় ভারতে নিয়ে যাবার জন্য। খাল বিল মাঠ পেরিয়ে মাইলের পর মাইল দুই ভাই হাঁটতে থাকে সীমান্তের দিকে। শিশুসিদ্দিকের দুপায়ের নীচে ফুঁসকা উঠে, ব্যথায় পা টন টন করে–তবুও সে থামে না। ক্লান্ত শরীরে এক সময় সিদ্দিক বড় ভাইয়ের হাত ধরে পৌঁছে যায় ভারতেরবনগার চাপাবেড়ে ক্যাম্পে।
ভারতের বনগা’র চাপাবেড়ে ক্যাম্পের কমান্ডার ছিলেন তার দুলাভাই (ভগ্নিপতি) জাহাতাব উদ্দিন। সিদ্দিক জাহাতাবকে দেখে আনন্দে বলে, দুলাভাই আমিযুদ্ধ করব। এ কথা বলেই সে বাঁশের লাঠি নিয়ে অন্যান্য প্রশিক্ষণার্থী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে লেফট্ রাইট শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধে নাম লেখাতে সে লাইনে দাঁড়ায়। দাঁড়ালে কি হবে–সে যে শিশু। কাজেই তার নাম বাদ পড়ে। সিদ্দিক কাঁদতে থাকে–তার কান্না আর থামে না।
নাছোড়বান্দা সিদ্দিক! এবার পার্শ্ববর্তী বারাকপুর ক্যাম্পে গিয়ে লাইনে দাঁড়ায়। ক্যাপ্টেন মুখার্জী এই ক্যাম্পের প্রধান। শিশু সিদ্দিককে দেখে তিনি রীতিমতোঅবাক হন। তিনি শিশু সিদ্দিককে বুঝাতে থাকেন তার দ্বারা এই কঠিন কাজ করা সম্ভব নয়। কিন্তু সিদ্দিকের একই কথা, আমি যুদ্ধ করবো। কারণ তার চোখেতখন ভাসছে তাদের বাড়ীর লেলিহান শিখা। এক পর্যায়ে ক্যাপ্টেন মুখার্জী সিদ্দিকের বুকে জোরে এক থাপ্পর মারে তার শক্তি পরীক্ষার জন্য–অপ্রত্যাশিত থাপ্পর খেয়ে সিদ্দিক লুটিয়ে পড়ে মাটিতে। সে বাদ পড়ে এই ক্যাম্প থেকেও। এই ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দলকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য একটিলরিতে (ট্রাক) বোঝায় করে বীরভূমের রামপুরহাট ক্যান্টনমেন্টের মুক্তিযুদ্ধা প্রশিক্ষন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সিদ্দিক ওই লরিতে উঠে পড়ে।
সিদ্দিকের অসীম সাহসিকতার কারণে তাকে অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে তালিকাভূক্ত করা হয়। বীরভূমের রামপুরহাটে যুদ্ধের ট্রেনিং নেয় ২৮ দিনের।ট্রেনিং শেষে অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তার ভাই জিন্দার আলী চাচা তবিবর রহমান সহ সিদ্দিককে একটি ট্রাকে করে চৌগাছার ধূলিয়ানি সীমান্তে প্রেরণকরা হয়। ধূলিয়ানি রণাঙ্গনে অকুতোভয় সিদ্দিক যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে। এই যুদ্ধে তার বড় ভাই জিন্দার আলী ও চাচা তবিবর শহীদ হন। সিদ্দিক একা হয়েপড়ে।
যুদ্ধে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ। সিদ্দিক বাড়ী ফেরে স্বাধীন দেশের লাল সবুজ পতাকা উড়িয়ে বীরযোদ্ধার বেশে। শহীদ বড় ভাই আর চাচাকে হারিয়ে সিদ্দিকবাড়ীতে এসে দেখে তার স্নেহময় পিতা রাজাকারদের অত্যাচারে মৃত্যু পথ যাত্রী। এক সময় তার পিতাও সেই অত্যাচারের ফলে ধুকে ধুকে মৃত্যু বরণ করেন। শিশু মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হয়ে পড়ে একেবারে অসহায়।
জীবনযুদ্ধেও সিদ্দিক হার মানতে রাজী নয়। তাই তিনি অন্যের বাড়ী লজিং থেকে শুরু করে লেখাপড়া। কখনো কখনো টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচযোগাতে হতো। এমনিভাবে এই শিশু বীর মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক জীবনযুদ্ধেও জয়ী হয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ইতিহাস বিষয়ে বি,এ (অনার্স),এম,এ পাশ করে। বর্তমানে তিনি সহকারি পরিচালক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তা আছে। এই পদে চাকুরীর পূর্বে তিনি চট্টগ্রাম তেল কোম্পানী, বাংলাদেশ ব্যাংক,বাংলাদেশ রেলওয়ে, এজি অফিস ও কলেজে অধ্যাপনার চাকুরী করেছেন।
অসীম সাহসী শিশু বীরসেনানী মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক যখন মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে তখন তার বয়স ছিলো মাত্র ১১ বছর। এতো অল্প বয়সেই তিনি বিদেশেরমাটি ভারতে উচ্চতর প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা (এফ, এফ),তার ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা নং– বি–২১৭, রামপুরহাট, ভারত। তার ভারতীয় নামের তালিকা বতর্মান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট্রের ৮নং সেক্টরের ৮নং ভল্যুমে ৭২ পৃষ্ঠার সংরক্ষিত আছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পরিচালক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গত ১৯ মে, ২০১৯ তারিখে শিশু মুক্তিযোদ্ধা মো: সিদ্দিকুর রহমানের হাতে তার মুক্তিযোদ্ধা ভারতীয় তালিকার কপির প্রত্যয়ন পত্র তুলে দেন। কপি অত্র ওয়েব সাইটে আর্কাইভে সংযুক্ত করা হইল। সিদ্দিক শুধু একা নন তার পুরো পরিবারটাই ছিলো মুক্তিযোদ্ধা। এটাও একটা বিরল বিষয়। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে শহীদদের তালিকায় তার আপন বড় ভাই ও চাচার নাম স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। রাষ্ট্রীয় তহবিল থেকে প্রতি মাসে তাদের পরিবার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা পেয়ে থাকেন।
তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাহার চুড়ান্ত লাল মুক্তিবার্তা নং:০৪০৫০১০১৮০, গেজেট নং– ৩৭৭, তারিখ– ১৪–০৫–২০০৫,
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিস্বাক্ষরিত সনদ নং– ১৪৫৬৩, তারিখ– ২৪–০৮–১৯৯৯, বহি নং– ৬০/২৪১, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রদত্ত সাময়িক সনদ নং– ম–১৪২৮, তারিখ– ২০–০৭–২০০২ ও ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা নং– এফ এফ/বি–২১৭, রামপুরহাট, ভারত।
শিশু মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক তার সাহসিকতার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন জীবদ্দশায় পেয়েছেন। বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে অন্তর্ভূক্ত তিনিই একমাত্র সবচেয়ে কমবয়সী মুক্তিযোদ্ধা। তিনি শিশু মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে দেশে–বিদেশে বর্তমান অধিক পরিচিত একটি নাম। বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠমুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সিদ্দিকুর রহমানের নাম যশোর জেলা প্রশাসক গত ১৪/০৫/২০০৬ইং তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে একটি পত্র প্রেরণ করেন। সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সিদ্দিকুর রহমানের ১৯৭১ সালের রনাঙ্গণের জীবনী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গত ২০০২এর নভেম্বর মাসে একটি সংকলন প্রকাশ করে। সিদ্দিকুর রহমানের শিশু বয়সের যুদ্ধের কাহিনী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ
মন্ত্রণালয় ২০০৬ সালে ও ২০০৭ সালে একটি পরিক্রমা প্রকাশ করে। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চলচ্চিত্রকার তানভির মোকাম্মেল মুক্তিযুদ্ধের ডকুমেন্টরী ছায়াছবিতে (স্মৃতি ১৯৭১) দেশের সর্বকনিষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সিদ্দিকের চিত্র ধারণ করেন। দেশের গন্ডী পেরিয়ে শিশু মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সিদ্দিকুর রহমানআন্তর্জাতিক পর্যায়েও একটি পরিচিত নাম।

Transparency International Bangladesh কর্তৃক পুরস্কার প্রাপ্ত সংবাদিক কবি ফখরে আলমের ‘দক্ষিণের মুক্তিযুদ্ধ’ গ্রন্থে শিশু মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমানের জীবন কাহিনী স্থান পেয়েছে। যা বাংলা একাডেমী থেকে গত ১৮ই ফেব্রুয়ারী ২০০৮ ইং তারিখে চ্যানেল আই এর মাধ্যমে লাইভ শো প্রচারিত হয়।
ইলেকট্রনিক্স মিডিয়া
বাংলাদেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকায় তাকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের গল্প, প্রবন্ধ, সম্পাদকীয়, ফিচার ও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যকয়েকটি প্রত্রিকার নাম– দৈনিক প্রথম আলো, দৈনিক কালের কন্ঠ, দৈনিক ইনকিলাব, দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক মানব জমিন, দৈনিক জনকন্ঠ, দৈনিক সমকাল, যায়যায় দিন, ভোরের কাগজ, লোকসমাজ, গ্রামের কাগজ, স্পন্দন, দিনকাল, ভোরের ডাক, পূর্বাঞ্চল, রানার, জন্মভূমি, দর্পন, কল্যাণ, আমার জমিন, মুক্তকন্ঠ, আমাদের সময়, ইত্তেফাক, বাংলালোক প্রভৃতি। এছাড়া সিদ্দিকুর রহমানের সাক্ষৎকার প্রচারিত হয়েছে ইলেকট্রনিক্স মিডিয়াতে। উল্লেখযোগ্য অনুষ্ঠানমালা হলো ঈদ আনন্দ মেলা, আমাদের বিজয় অনুষ্ঠান, ঢাকার ৪০০তম বছর পূর্তিঅনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ টেলিভিশন, চ্যানেল আই, এনটিভি, বাংলাভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন মিডিয়াতে তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ী বীর সিদ্দিকুর রহমান জীবন যুদ্ধেও একজন বিজয়ী বীর। তিনি উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত থেকে পেশাগত দক্ষতার পরিচয়ও দিয়েছেন। একজন সফল কর্মকর্তা হিসাবে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর হাত থেকে পরপর ছয়বার (২০০৪–০৫, ২০০৫–০৬, ২০০৬–০৭, ২০০৭–০৮, ২০০৮-০৯, ২০০৯-১০) জাতীয় জনসংখ্যা পুরস্কার লাভ করেন। যশোর পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে ট্যাক্স মুক্ত ঘোষণা করে পৌরসভার সনদ প্রদান করেছেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে বেশ কয়েকবার বিদেশ সফর করার গৌরবও লাভ করেন তিনি। তন্মধ্যে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া,মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর উল্লেখযোগ্য।
তিনি বেশ কিছু সম্মাননা পদকও লাভ করেছেন। বাংলাদেশ বেতার খুলনার জনপ্রিয় ম্যাগাজিন ‘আয়না’ অনুষ্ঠানের রুপকার সুরত আলীর নামে প্রতিষ্ঠিতমনিরামপুরস্থ সুরত স্মৃতি সংসদ কর্তৃক প্রবর্তিত সুরত স্মৃতি পদক ২০০৮ইং লাভ করেন। ২ আগষ্ট ২০০৮ইং সালে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পদক গ্রহণ করেনখুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক জনাব সালাউদ্দিন আহমেদ–এর হাত থেকে। ২০০৯ইং সালের ৪ ফেব্রুয়ারী তাকে যশোরের ‘সমমনা বন্ধুমহল’ সম্মাননাপ্রদান করেন জয়তী সোসাইটি মিলনাতয়নে। ‘সমমনা বন্ধুমহল’ কর্তৃক প্রদত্ত এই পদক তিনি গ্রহণ করেন তারই আর দুই কৃতি
বন্ধু কথা সাহিত্যিক অধ্যক্ষ পাভেল চৌধুরী ও টি,আই,বি পুরস্কার প্রাপ্ত দক্ষিণাঞ্চলের কৃতি সাংবাদিক কবি ফখরে আলম– এর নিকট থেকে।
লেখক
হোসাইন নজরুল হক
কবি, সমালোচক ও সহকারী অধ্যাপক,
বাংলা বিভাগ, রঘুনাথনগর কলেজ, ঝিকরগাছা, যশোর।
মোবাঃ ০১৭১২–৪৮৫৩৪৪।
Comment Here





